নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহীর তানোরে ইফতার মাহফিলে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে দলের কর্মী গানিউল ইসলাম নিহতের ঘটনায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিজানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র। এছাড়া তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মুজিবুর রহমানকেও দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে জেলা বিএনপি তাদের বহিষ্কার করে। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকারের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১১ মার্চ) তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়ন বিএনপি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। ওই ইফতারে প্রধান বক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও রাজশাহী-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দিন।
ওই ইফতারে শরীফ উদ্দিন আসার আগে তাকে বরণ করে নিতে বিএনপির দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা কৃষ্ণপুর মোড়ে অপেক্ষা করছিলেন। ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোমিনুল হকের অনুসারীরা প্রধান অতিথিকে বরণ করতে চাইলে বাধা দেন বর্তমান সভাপতি মুজিবুর রহমানের অনুসারীরা। তখন দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে গানিউল ইসলাম নামে দলীয় একজন কর্মী আহত হন। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সেকানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার মিজানুর রহমান ও মুজিবুর রহমানসহ ৩৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা হয়। এরপরই দুই নেতাকে বহিষ্কার করে জেলা বিএনপি।
এ বিষয়ে কথা বলতে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে মিজানুর রহমানের দুটি মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হয়। তিনি ফোন ধরেন নি। তবে আগের দিন মামলার পর মিজানুর রহমান তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই ও্ই ঘটনা ঘটে গেছে। পরে আমি গিয়ে ইফতার করেছি। আমাকে কেন আসামি করা হয়েছে বুঝতে পারছি না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে এটা করতে পারে।
শিপ্র/শাহোরা/তমোআজা/