শিরোনাম প্রতিদিন ডেস্ক
বগুড়ায় একটি বসতবাড়িতে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে শহরের মালতিনগর মোল্লাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এসময় বিস্ফোরণে ও দেয়ালের চাপায় পড়ে ৩ জন শিশুসহ ৪ জন গুরুত্বর আহত হয়েছেন। তাদেরকে শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
আহতরা হলেন, মোল্লাপাড়া এলাকার রেজাউলের স্ত্রী রেবেকা ইসলাম (৩৮), মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১৫), তার ভাই রাশেদুল ইসলামের মেয়ে জিম (১৩) ও প্রতিবেশী আলী হোসেনের মেয়ে তানজিম বুশরা (১৪)। তাদের শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। বিস্ফোরণের সময় এই চারজনই বাড়িতে ছিলেন। এ ঘটনায় তাসনিম বুশরার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত পৌনে ১০টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দ শোনা যায়। তারা এসে দেখতে পান বিস্ফোরণে উড়ে গেছে ঘরের আসবাবপত্র, ভেঙে গেছে বাড়ির দুটি ঘরের সবকিছু। এছাড়াও বিস্ফোরণের সময় উড়ে যাওয়া দেয়ালের বড় বড় টুকরা বাড়ির আশপাশে পড়ে রয়েছে। সেসময় বাড়িতে থাকা ৩ শিশুসহ চারজন ভাঙ্গা দেয়ালের নিচে আহত অবস্থায় পড়ে ছিল। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বুশরাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
বাড়ির মালিক রেজাউল করিম বলেন, ‘বাড়ি থেকে বের হয়ে এশার নামাজ পড়তে যাই। নামাজরত অবস্থায় বিকট শব্দ শুনতে পাই। বের হয়ে শুনি আমার বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে। এসে দেখি আমার বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আমার স্ত্রী, মেয়ে, ভাতিজি এবং প্রতিবেশী একজনের মেয়ে আহত হয়ে পড়ে আছে। তবে কিভাবে কি হলো কিছু বুঝতে পারছি না।’
বনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আলী আশরাফ বলেন, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসি। ঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখি। এতে তিন শিশুসহ চারজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১৪ বছর বয়সী তাসনীন বুশরার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তিনি আরও বলেন, কি থেকে এ বিস্ফোরণ হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে জানা গেছে ওই বাড়িতে আতশবাজি বানানোর কাজ করা হত। ওই বাড়ি থেকে পটকাও উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের তদন্ত কাজ অব্যাহত আছে।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক খন্দকার আব্দুল জলিল বলেন, খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছিলাম গ্যাস সিলিন্ডার থেকে এই বিস্ফোরণ হতে পারে। কিন্তু আমরা এই বাড়ি থেকে তিনটি গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার করেছি। তবে সেগুলো অক্ষত আছে। সিলিন্ডার লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণ কিনা তা আমরাও তদন্ত করছি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) শরাফত ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল ঘিরে রাখা হয়েছে। এখনও কিছু বলা যাচ্ছে না। ঘটনাস্থল থেকে বস্তাভর্তি পটকা উদ্ধার করা হয়েছে। সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শিপ্র/শাহোরা/