শিরোনাম প্রতিদিন ডেস্ক
সিলেট নগরীর বাদামবাগিচার ইলাশকান্দি এলাকায় কিশোর গ্যাং দ্বন্দ্বের জেরে ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন সপ্তম শ্রেণির ছাত্র শাহ মাহমুদ হাসান তপু (১৫)। এদিকে তপু হত্যাকাণ্ডে পরিবারের অভিযোগ, বাসা থেকে ডেকে নিয়ে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। আর পুলিশ বলছে, গ্রুপ সংক্রান্ত বিষয়ের জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাত প্রায় ১২টার দিকে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরদিন শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকালে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত জাহিদ হাসানসহ তিন কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত তপু খাসদবির উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র এবং চার ভাই-দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট। শুক্রবার সন্ধ্যায় জানাজা শেষে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘তপু ও জাহিদের মধ্যে দীর্ঘদিনের সিনিয়র-জুনিয়র বিরোধ ছিল। ওই বিরোধ মেটাতে এবং দুই গ্রুপ একসঙ্গে চলবে কি-না এ নিয়ে আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার রাতে তপুর বাড়িতে যায় জাহিদসহ কয়েকজন। সেখানে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এই তর্ক-বিরোধ থেকেই পরে সংঘর্ষের সূত্রপাত এবং শেষ পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।’
তিনি জানান, প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য অনুযায়ী রাতের ঘটনায় তপু ও জাহিদসহ দুই পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। একপর্যায়ে তপু জাহিদকে মারধর করে। পরে ধস্তাধস্তির সময় সুযোগ পেয়ে জাহিদ তপুর পেটে ছুরিকাঘাত করে।
পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার রাতে তপুকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় জাহিদ ও তার সহযোগীরা। পরে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। তবে কেন এই হত্যাকাণ্ড—এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছে না তপুর পরিবার। নিহতের বড় ভাই রুবেল আহমদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে জাহিদরা বাসা থেকে ডেকে নিয়ে তপুকে হত্যা করেছে। কেন করেছে জানি না।’
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তপুর এক বন্ধু জানান, সেদিন রাতে তপুদের সংখ্যা ছিল তিনজন। আর জাহিদদের ১৫-২০ জন। তবু পরিস্থিতি এমন ছিল না যে তারা তপুকে মেরে ফেলবে। কিন্তু ধস্তাধস্তির সময় তপু পড়ে গেলে জাহিদ তার পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। ’
ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত জাহিদসহ তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- এয়ারপোর্ট থানার খাসদবির এলাকার মো. জাহিদ হাসান, কোতোয়ালী থানার লোহারপাড়া এলাকার মো. অনিক মিয়া ও মো. জুনেদ আহমদকে। তবে এখনো কোনো মামলা হয়নি।
শিপ্র/শাহোরা/