বিনোদন ডেস্ক
৯০ এর দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর অপমৃত্যু মামলা বর্তমানে হত্যা মামলায় রূপ নিয়েছে। এই মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে সালমান শাহর সাবেক স্ত্রী সামিরা হককে। আর অন্যতম আসামি খলঅভিনেতা আশরাফুল হক ডন। সোমবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকার মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান এই দুই আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
এদিকে আসামি ডন জানিয়েছেন তিনি দু–এক দিনের মধ্যেই তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন।
দেশের একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “সবাই বলছে আমি নাকি পালিয়ে বেড়াচ্ছি। ৩০ বছর পালাইনি, এখন পালাব কেন? আমি বাসাতেই আছি। ভাবছি, দু-এক দিনের মধ্যেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করবো। কারণ ৩০ বছর ধরে যন্ত্রণা ভোগ করছি। এর একটা সুরাহা হওয়া দরকার।”
চলচ্চিত্র জীবনের কঠিন সময়ের কথা স্মরণ করে ডন বলেন, “যে চলচ্চিত্রকে ভালোবেসে ঘর ছেড়েছি, অভিনয়ের ভালো সুযোগ পাওয়ার আশায় হার্টথ্রব সালমান শাহর সাথে জুটি গড়েছিলাম। মা-বউয়ের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত মানুষটির সুখ–দুঃখের সাথী হয়েছি, তাকে আনন্দে রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সালমানকে ভালোবেসে আমার ক্যারিয়ারের বারোটা বেজেছে। আজও ঘুরে দাঁড়াতে পারিনি। সালমানকে ভালোবেসেছি বলেই জীবনের প্রচণ্ড ঝড় নেমে এসেছে। সেটাকেও মেনে নিয়েছি।”
সালমানকে ঘিরে দীর্ঘদিনের যন্ত্রণার কথা বলতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, “সালমানকে ভালোবাসার যন্ত্রণা আর সইতে পারছি না। আমিও তো মানুষ, আমারও তো বাঁচতে ইচ্ছে করে। সালমানকে ভালোবেসে অনেকেই আত্মহত্যা করেছে, আমি করিনি — এটাই কি আমার অপরাধ? আমি আত্মহত্যা করলেই কি সবাই খুশি হতো? ওপরে একজন আছেন, তিনি সব দেখেন। একদিন সত্য প্রকাশ হবেই, তবে আমি সেদিন দেখে যেতে পারব কি না জানি না।”
মৃত্যুর আগে সালমান শাহর সাথে শেষ সাক্ষাতের কথাও স্মরণ করেন ডন। তিনি বলেন, “৩০ আগস্ট আমি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসি। সালমান বলেছিল, পরিচালক শিবলী সাদিক ভাইকে জানাতে যে সে ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় এসে আনন্দ অশ্রু ছবির শুটিংয়ে অংশ নেবে। আমি খবরটা পৌঁছে দিই। দুই দিনের ফাঁকে ভাবলাম বগুড়ায় ঘুরে আসি, কিন্তু বাস ধর্মঘটের কারণে ঢাকায় ফিরতে পারিনি। এরপর ৬ সেপ্টেম্বর ঝড়ের মতো খবর—সালমান শাহ আর নেই।”
শিপ্র/শাহোরা/