শিরোনাম :
শিবপুরে পতিত সরকারের মামলা ও নির্যাতনের শিকার বিএনপির ত্যাগী নেতা অহিদ মেম্বার ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: সীমান্ত বন্ধসহ কয়েকটি সিদ্ধান্ত মোদির সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে গৃহবন্দী সংবাদকর্মী শাওন খন্দকার শাহিন এইচটিআই’র বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা, ঔষধ এবং পরামর্শ প্রদান প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পথচলায় হুইল চেয়ার উপহার দিলেন ইউএনও মুনকে প্রেমের প্রস্তাবটা প্রথমে জামিলই দিয়েছেন খেলার সময় ফ্রিজের পেছনে লুকাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ শিশুর মৃত্যু ‘টিম অব দ্য টুর্নামেন্ট’ আইসিসি ঘোষিত দলে বাংলাদেশের ৩ ক্রিকেটার একনেক বৈঠকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন হারিয়েছে
শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০১ অপরাহ্ন

লবণাক্ত পানিতে সয়লাব সুন্দরবন ; হুমকির মুখে জীববৈচিত্র্য

Reporter Name / ৭৩ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উঁচু জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবনের ভেতরের প্রায় ৮০টি মিঠা পানির পুকুর লবণ পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্য প্রাণী, বনজীবী এবং বনে অবস্থান করা বনকর্মীদের মিঠা পানির একমাত্র উৎস ছিল এসব পুকুর। এতে সুন্দরবনে স্বাভাবিক ও পানযোগ্য পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘উপকূলে ঘূর্ণিঝড় রেমাল-পরবর্তী পরিস্থিতি ও জরুরি করণীয়’ শীর্ষক সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। উন্নয়ন সংস্থা ‘লিডার্স’ এবং নাগরিক সংগঠন ‘সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন’ এ সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র।

আলোচনায় অংশ নেন খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান, বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল, মৎস্য সম্পদ বিশেষজ্ঞ, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের সদস্য সচিব আমিনুর রসুল বাবুল।

সভায় বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। যদিও বৈশ্বিক উষ্ণতায় বাংলাদেশের অবদান মাত্র ০ দশমিক ৪ শতাংশ। তবে দুর্যোগে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। ১৯৯১ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ২০১টি বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে। এ তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এটি এ দেশের মানুষের জীবন-জীবিকা, সম্পদ, খাদ্য, পানি, বাসস্থানসহ অন্যান্য সংকট সৃষ্টি করেছে। এ ঘূর্ণিঝড়ে জনপদের পাশাপাশি পায়রা নদীর ড্রেজিং ও উপকূলীয় বেড়িবাঁধগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলীয় ও এর আশপাশের ১৯টি জেলার ১১৯ উপজেলার ৯৩৪ ইউনিয়নের প্রায় ৪৬ লাখ মানুষ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে।

সভায় মৎস্য সম্পদ বিশেষজ্ঞ ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মীর মোহাম্মদ আলী বলেন, লবণাক্ত পানির আগ্রাসন ঠেকাতে না পারলে পুরো জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে। সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড়ের ফলে যেসব মিঠা পানির পুকুরে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করেছে, সেগুলো দ্রুত অপসারণ করতে হবে। না হলে মিঠা পানির পুকুরে থাকা মাছ মারা যাবে। পরে দীর্ঘসময় জুড়ে এর প্রভাব পুরো দেশের মৎস্য খাতে পড়বে। এসব বিষয়কে জরুরি ভিত্তিতে অগ্রাধিকার দিয়ে উপকূলের জন্য আলাদা অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। এতে ক্ষতির বিপরীতে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হবে।

জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে রেমালের প্রভাবে প্রাণহানি কম হয়েছে উল্লেখ করে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য (সাতক্ষীরা) লায়লা পারভীন সেঁজুতি বলেন, ভৌগোলিক অবস্থান, ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভঙ্গুর অবকাঠামো, দরিদ্রতা, দীর্ঘমেয়াদি লবণাক্ততার কারণে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট উপকূলীয় এলাকা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। এ পরিস্থিতিতে ওই এলাকাকে বিশেষ এলাকা বা জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করে দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনার উদ্যোগ নেওয়া দরকার।

শিপ্র/শাহোরা/


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!