শিরোনাম :
শিবপুরে পতিত সরকারের মামলা ও নির্যাতনের শিকার বিএনপির ত্যাগী নেতা অহিদ মেম্বার ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: সীমান্ত বন্ধসহ কয়েকটি সিদ্ধান্ত মোদির সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে গৃহবন্দী সংবাদকর্মী শাওন খন্দকার শাহিন এইচটিআই’র বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা, ঔষধ এবং পরামর্শ প্রদান প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পথচলায় হুইল চেয়ার উপহার দিলেন ইউএনও মুনকে প্রেমের প্রস্তাবটা প্রথমে জামিলই দিয়েছেন খেলার সময় ফ্রিজের পেছনে লুকাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ শিশুর মৃত্যু ‘টিম অব দ্য টুর্নামেন্ট’ আইসিসি ঘোষিত দলে বাংলাদেশের ৩ ক্রিকেটার একনেক বৈঠকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন হারিয়েছে
শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২৭ অপরাহ্ন

রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরাতে জাতিসংঘের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবো: প্রধান উপদেষ্টা

Reporter Name / ২৫ Time View
Update : শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক

রোহিঙ্গারা যেন আগামী বছর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তাদের নিজ বাড়িতে ফিরে গিয়ে ঈদ উদযাপন করতে পারেন সে লক্ষ্যে জাতিসংঘের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) কক্সবাজারের উখিয়ায় শরণার্থী শিবিরে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতারে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন।

এই ইফতারে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সফররত জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও অংশগ্রহণ করেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশে তিনি বলেন, শুধু কথায় নয়, বরং বাস্তব পদক্ষেপ ও কার্যকর সহায়তার মাধ্যমে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং তাদের বাংলাদেশি আশ্রয়দাতাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা উচিত।

জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এখনই রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা বিনিয়োগ করা উচিত, কারণ এই মানুষগুলো ইতোমধ্যে অসীম কষ্টের মধ্যে দিয়ে জীবন পার করছে।

তিনি বলেন, আমরা একটি গভীর মানবিক সংকটের মধ্যে রয়েছি। ঘোষিত অর্থের সহায়তা হ্রাসের কারণে ২০২৫ সালে মানবিক সহায়তার জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের মাত্র ৪০ শতাংশ পাওয়া যাবে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি করবে। এটি সম্পূর্ণ বিপর্যয় হবে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং মানবিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত অনেক এনজিও বর্তমানে ব্যাপক তহবিল সংকোচনের মুখোমুখি। এই তহবিল সংকোচনের সরাসরি এবং ভয়াবহ প্রভাব পড়বে। মানুষ পর্যাপ্ত খাবার পাবে কি না, মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা মিলবে কি না, অন্যান্য জরুরি সেবা ও সুরক্ষা বজায় থাকবে কি না, তা নির্ভর করবে এই অর্থায়নের ওপর। সম্পূর্ণ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।

তিনি বলেন, যতদিন না পর্যন্ত শরণার্থীদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, ততদিন তারা হাল ছাড়বেন না। এর আগ পর্যন্ত, আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি সংহতি এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রয়োজন, ঠিক যেমন বাংলাদেশের প্রতিও সংহতি দরকার।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, সময় নষ্ট করার সুযোগ নেই, কারণ মানবিক সহায়তা বাস্তবিক পরিবর্তন আনছে। আমাদের অবশ্যই বাংলাদেশের জনগণের বিশাল সহায়তার স্বীকৃতি দিতে হবে, যারা তাদের জমি, বন, সীমিত পানি ও স্বল্প সম্পদ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছেন।

শিপ্র/শাহোরা/


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!