রায়পুরা প্রতিনিধি
নরসিংদীর রায়পুরায় যৌতুকের বলি হলেন সুস্মিতা আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূ। তাকে মারধরের পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই) সদস্য যুবায়ের মিয়ার বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে রায়পুরা উপজেলার পৌর শহরের শ্রীরামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুস্মিতা শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদ গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার মেয়ে।
অপরদিকে অভিযুক্ত স্বামী যুবায়ের মিয়া বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের আজিজুল হক ওরফে আফজাল মিস্ত্রির ছেলে। সে ডিজিএফআই’র হেড কোয়ার্টারে কর্মরত বলে জানা গেছে।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় সুষ্মিতা ও যুবায়ের দম্পতির। বিয়েতে যৌতুক হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দাবী করে ছেলে পক্ষ। দাবীকৃত টাকার মধ্যে তিন লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়। বাকি ২ লাখ টাকার জন্য যুবায়ের প্রায়ই সুষ্মিতাকে নির্যাতন করতো। এ দম্পতির আট মাসের একটি কন্যা শিশু রয়েছে।
সুষ্মিতার বাবা পৌর শহরের শ্রীরামপুর কামাড়বাড়ি মোড়ে একটি বাসায় ভাড়ায় থাকেন। ঘটনার দিন সুস্মিতা তার বাপের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলো। সেখানে খাওয়া শেষে স্বামী যুবায়ের ও তার স্ত্রী সুস্মিতা শোবার ঘরে যায়। কিছুক্ষণ পর ঘর থেকে স্বামী বের হয়ে যায়। কিছুক্ষন পর স্বামী এসে সুস্মিতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
মৃত ঘোষণার পর স্বামী যুবায়েরকে প্রশাসনের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যেতে চায় আশরাফুল নামের এক যুবক। এ নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে চরম উত্তেজনা ও হট্টগোল সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় জনতা ও নিহতের স্বজনরা যুবায়েরকে থানায় প্রেরণ করে।
এবিষয়ে রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল জব্বার জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নরসিংদী মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের এজাহারের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
শিপ্র/শাহোরা/এআই/