শিরোনাম প্রতিদিন ডেস্ক
রাজশাহী জেলায় এখনও পর্যন্ত ১৫৮ আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেয়নি সংশ্লিষ্ট বেসামরিক লাইসেন্সধারীরা। এ অবস্থায় মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাত থেকেই যৌথবাহিনীর উদ্যোগে পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র, গোলাবারুদ ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি চিহ্নিত অপরাধীদের ধরতে অভিযান শুরু হচ্ছে।
আর যৌথবাহিনীর এই অভিযানের সময় আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
রাজশাহীর নব নিযুক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আনিসুজ্জামান মঙ্গলবার বিকেলে নিজ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস বিফ্রিং করেন। প্রেস বিফ্রিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
এ সময় রাজশাহী জেলা পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহীর এসপি মো. আনিসুজ্জামান জানান, জেলা পুলিশের থানাগুলো থেকে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র লুট হয়নি। তবে আমাদের মোট ৬৫০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে।
চারটি গাড়ি একেবারেই পুড়ে গেছে। এছাড়া হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আরও ১১টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর বেসামরিক লোকজনের কাছে এখনও লাইসেন্স করা ১৫৮ আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। যেগুলো তারা শেষ সময় পর্যন্তও জমা দেননি। তাই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও নাশকতাকারীদের ধরতে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকেই যৌথবাহিনী অভিযান শুরু করবে।
দেশের পরিবর্তিত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এসপি বলেন, বিভিন্ন ইউনিটের অনেক পুলিশ অফিসার পালিয়ে গেছেন। যারা আছেন তারা কোনো অপরাধ করেননি। তাদের অভিভাবকের নির্দেশনার অভাব ছিল। তারা এখন সম্পূর্ণ অপারেশনে আছেন। কাল-পরশু থেকেই টহলসহ পুলিশি কার্যক্রম আরও বাড়ানো হবে। সমাজে পুলিশের অভাবে যেই চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই শুরু হয়েছিল; তা আর হবে না।
রাজশাহীর পুলিশ সুপার বলেন, যৌথবাহিনীতে সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসার এবং জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। সবার সমন্বয়েই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলবে। তারা নাশকতাকারীদেরও আইনের আওতায় আনবেন। এ সময় তিনি আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে সবার সহযোগিতা চান।
শিপ্র/শাহোরা/