শিরোনাম প্রতিদিন ডেস্ক
মাত্র ছয় মিনিটের কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ‘লন্ডভন্ড’ হয়েছে মৌলভীবাজারের তিন উপজেলা। রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিকালে জেলার কুলাউড়া, শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
তিন উপজেলায় স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রচণ্ড ঝড়ে উপড়ে পড়েছে সহস্রাধিক গাছপালা, বিভিন্ন স্থানে পড়ে গেছে বিদ্যুতের খুটি এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাড়িঘর। লাউয়াছড়া অংশে রেলপথে গাছপালা ভেঙ্গে ও উপড়ে পড়ে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। রাত ৭টা ৪০ মিনিটে তা স্বাভাবিক হয়। একাধিক স্থানে বিদ্যুতের খুটি ভেঙ্গে ও মূল সঞ্চালন লাইন ছিড়ে জেলা সদর, শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘রবিবার বিকাল ৪টা ৪২ মিনিট থেকে ৪টা ৪৮ মিনিট পর্যন্ত মৌলভীবাজারের উপর দিয়ে প্রচণ্ড ঝড় বয়ে যায়। ঝড়ের গতিবেগ ছিল ৮৯ কিলোমিটার। এ সময়ে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় ১৭.৮ মিলিমিটার।’
মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুত সমিতির মহাব্যবস্থাপক এ বি এম মিজানুর রহমান বলেন, ‘রবিবারের ঝড়ে বিদ্যুতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক স্থানে খুটি ভেঙ্গে পড়েছে এবং মূল লাইন ছিড়ে গেছে। আমাদের কর্মীরা লাইন মেরামতে কাজ করছেন। দ্রুত সংযোগ স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ভয়াবহ কালবৈশাখী ঝড়ে শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রেললাইনের উপরে গাছ পড়ার ফলে সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী আন্তঃনগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেন শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনে এবং সিলেট থেকে ঢাকা গামী আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন সমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশনে আটকা পড়ে। রেলওয়ে থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও রেলওয়ে কর্মীরা রেললাইনের উপর থেকে গাছ অপসারণ করে। পরে রাত ৭টা ৪০ মিনিটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।’
শিপ্র/শাহোরা/