নিজস্ব প্রতিবেদক
পোশাক শিল্পে চলমান অস্থিরতা কাটাতে আশুলিয়াসহ শিল্প এলাকায় কঠোর অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়ায় বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) থেকে দেশের সব পোশাক কারখানা খোলার ঘোষণা দিয়েছেন মালিকরা।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চলমান শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।
এর আগে পোশাক খাতে বিরাজমান শ্রম পরিস্থিতি বিষয়ে রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিএমইএ নেতারা ছাড়া এনএসআই, শিল্প পুলিশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে সাভার, আশুলিয়াসহ অন্যান্য এলাকায় পোশাক কারখানা খোলা হবে। বুধবার নিরাপত্তা শঙ্কায় ১৬৭টি কারখানা বন্ধ ছিল।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়ায় পোশাক মালিকরা কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান খন্দকার রফিকুল ইসলাম।
আন্দোলনে বহিরাগতরা ইন্ধন দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ সমস্যা খুবই কম। বহিরাগত কারা হামলা চালাচ্ছে তাদের চেনে না বিজিএমইএ। এদের খুঁজে বের করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।
মাসের শুরুতে কারখানায় ঝামেলা হলেও বেতন দিতে দেরি হবে না বলে জানান বিজিএমইএ সভাপতি।
মজুরি, হাজিরা বোনাস, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, নিয়োগসহ বিভিন্ন দাবিতে কয়েক দিন ধরেই পোশাক শিল্পে চলছে চরম অসন্তোষ। শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে ইতোমধ্যে গাজীপুর, সাভার ও আশুলিয়ায় শতাধিক পোশাক কারাখানায় ছুটি ঘোষণা করেছে মালিকপক্ষ।
শিপ্র/শাহোরা/