শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:২২ পূর্বাহ্ন

বন্যা পরিস্থিতি ; ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর নিয়ে দুশ্চিন্তায় মানুষ

Reporter Name / ৩২ Time View
Update : সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক 

সারা দেশে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও নানা রকম সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে দুর্গত মানুষকে। সংকট দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও গোখাদ্যের। বাসাবাড়ি ও রাস্তাঘাটের ক্ষত তাদের সমস্যায় ফেলছে। ঘরবাড়িতে পানি ঢোকায় এখনও সেটা স্যাঁতসেঁতে। অনেক এলাকায় দেখা দিয়েছে ত্রাণের সংকট। আশ্রয়কেন্দ্রে থাকাকালীন শুকনো খাবার পেলেও বাড়ি গেলে সেটা মিলবে কি না তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় বন্যার্তরা। লালমনিরহাটে ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে প্রায় তিন হাজার বাড়ি, একাধিক মসজিদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি সহায়তা চেয়েছেন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা। এদিকে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সিলেটে খুলে দেওয়া হয়েছে সব পর্যটনকেন্দ্র।

সুনামগঞ্জে বন্যায় ঘরহারা মানুষ সহায়তা চায়

ভাঙা টিনের চাল। পুরোনো টিনের বেড়ায় ফাঁকফোকর। মাটির মেঝেতে খেলা করছে কেঁচো। এখানেই স্বামী-স্ত্রী ও আর ৫ সন্তানকে নিয়ে বাস দরিদ্র পরিবারটির। এবারের বন্যায় সুনামগঞ্জ শহরের ৯নং ওয়ার্ডের ওয়েজখালী গ্রামের রাহেলা বিবির ঘরটিও তছনছ করে গেছে। কোনোমতে বৃদ্ধ স্বামীকে নিয়ে আনসার ভিডিপি ভবনে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এখন পানি নামার পর এসে দেখেন হাওরের আফাল (উত্তাল ঢেউ) ভেঙে নিচ্ছে ভিটা। মেঝের মাটি ঢেউয়ের আঘাতে সরে যাচ্ছে। এই অবস্থা শুধু এই নারীরই নয়; একই পাড়ার আজাদ মিয়া, জাহেদা বেগম, তাজ আলীসহ অন্তত ২০ হতদরিদ্র পরিবারের। হাওরের মাঝখানে তৈরি বসতঘর সংস্কার ও রক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে তারা।

পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের এই বর্ধিত অংশ হাওর ভরাট করে গড়ে উঠেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বেড়েই চলেছে হাওর ভরাট করে বসতবাড়ির নির্মাণ প্রতিযোগিতা। এই অবস্থা হাসননগরের কেজাউড়া, শান্তিবাগ, পশ্চিম ও দক্ষিণ হাজীপাড়া, পূর্ব ও দক্ষিণ নতুন পাড়া, কালিপুর, পূর্ব মল্লিকপুর ও পূর্ব ও দক্ষিণ ওয়েজখালী এলাকার। বন্যা হলে এসব এলাকার মানুষের দুর্ভোগ দীর্ঘ হয়। পানি আটকে থাকে বিভিন্ন অংশে। হাওরের লেভেলের ভিটার কারণে জলাবদ্ধতা এখন সব এলাকায় লেগেই থাকে। পৌরশহরের নাগরিক হলেও তারা সুবিধা পায় না। রাস্তাঘাট, পয়োনিষ্কাশন, বিশুদ্ধ পানি, বাথরুমের স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থা নেই। সরেজমিন এই চিত্রই সোমবার (২৪ জুন) দেখা গেছে। ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায় হাতে বাওয়া নৌকায় এসে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে জিনিসপত্র নিয়ে বাড়ির দিকে ছুটছে বন্যার্তরা। তাদের সঙ্গে কাঁথা-বালিশ, বাসন-কোসন ও শিশুরা রয়েছে। ক্লান্ত দেহে বন্যার ধকল নিয়েই বাড়িতে ছুটছে তারা।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রেজাউল করিম বলেন, বন্যায় বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রতিটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করে পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখন বন্যার্তদের জন্য ত্রাণসহায়তা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বসতবাড়ি সংস্কারে বরাদ্দ পাওয়া গেলে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া হবে।

সিলেটে খুলেছে পর্যটনকেন্দ্রগুলো

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সব পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে নানা রকম সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে বন্যাক্রান্ত ১০ লক্ষাধিক মানুষকে। সংকট দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও গোখাদ্যের। এছাড়া বাসাবাড়ি ও রাস্তাঘাটের ক্ষত তাদের সমস্যায় ফেলছে। ঘরবাড়িতে পানি ঢোকায় এখনও সেটা স্যাঁতসেঁতে রয়েছে। অনেক এলাকায় দেখা দিয়েছে ত্রাণের সংকট। আশ্রয়কেন্দ্রে থাকাকালীন শুকনো খাবার পেলেও বাড়ি গেলে সেটা মিলবে কি না তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে বন্যার্তরা।

সিলেট জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, এখনও নগরীর ৩টি ওয়ার্ড ও জেলার ৪ পৌরসভা ও ১০৩ ইউনিয়নে ৮ লাখ ৩ হাজার ৩৬৫ জন বন্যা আক্রান্ত রয়েছে। গতকাল সকালে নগরীর তোপখানা, মেন্দিবাগ, জামতলা, যতরপুর, সোবহানীঘাট, শাহজালাল উপশহর, মীরাবাজার, টুকের বাজারসহ আশপাশের এলাকায় বাসাবাড়ি ও রাস্তা থেকে পানি অনেকটা কমেছে।

কানাইঘাট উপজেলার মুলাগুলের মেছা গ্রামের শাহাব উদ্দিন বলেন, গ্রামের চারদিকে এখনও পানি। রাস্তাঘাট পানির নিচে। নৌকা দিয়ে চলাচল করে গ্রামবাসী। আর যাদের ঘর থেকে পানি নেমেছে, তাদের অবস্থা একেবার শোচনীয়। বেশিরভাগ লোকের কাঁচা ঘরবাড়ি, পানিতে ভিটেমাটি একবারে দেবে গেছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। খাদ্যের অভাবে গবাদিপশু দুর্বল হয়ে পড়ছে। এই এলাকার মানুষ আর্থিকভাবে অনেকটা দুর্বল। এ অবস্থায় বারবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অনেকেই নানামুখী সমস্যায় রয়েছে।

একইভাবে দুর্ভোগের কথা জানান, জৈন্তাপুর উপজেলার চারিকাটা এলাকার রহিম মিয়া। তিনি বলেন, বানের পানিতে ঘরবাড়ি তছনছ হয়েছে।

বন্যাকবলিত এলাকায় বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি, মৎস্য ও পশুর খামার তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বন্যায় তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুল-কলেজে আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করায় চলমান ঈদের বন্ধের পর পাঠদান শুরু নিয়ে সংশ্লিষ্টরা চিন্তায় রয়েছে। জেলা প্রশাসনের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বন্যাকবলিত মানুষের পাশাপাশি উপদ্রুত এলাকার মানুষ তাদের গবাদিপশুও নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।

তবে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্ট ও কুশিয়ারার তিনটি পয়েন্টে পানি এখনও বিপদসীমার ওপরে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য।

সিলেটকে বন্যা থেকে রক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে

বন্যার কবল থেকে সিলেটকে রক্ষা করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি। তিনি বলেন, সুরমা, কুশিয়ারা নদী খননের মাধ্যমে সিলেটবাসীকে বন্যা থেকে রক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী বছর সিলেটবাসীকে বন্যার কবল থেকে রক্ষা করতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণে ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী এবং পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীকে সিলেট পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ ও সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নগরীর বিভিন্ন স্থানে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপির নেতৃত্ব আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে বিমানযোগে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন। এ সময় বিমানবন্দরে এ প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানাতে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীসহ প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রতিনিধিদলে জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি ছাড়াও ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সদস্য আজিজুস সামাদ ডন। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার জিয়ারত করতে যায়। এরপর তারা দুর্গতদের খোঁজখবর নেন এবং ত্রাণসহায়তাসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করে।

মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বেলা ১১টায় নগরীর ২৪নং ওয়ার্ডের তেররতন এলাকায় ও সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে দুপুর ১২টায় ৪২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ের সামনে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন নেতারা। এরপর দুপুর ১টায় সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিবের উদ্যোগে দক্ষিণ সুরমার সিলাম এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেন তারা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলের সদস্য ছাড়াও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মহানগরের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন খান, সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীসহ জেলা ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মঙ্গলবার সকাল ৮টায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় ত্রাণ বিতরণের উদ্দেশ্যে সিলেট সার্কিট হাউস থেকে যাত্রা করবে প্রতিনিধিদল।

চলতি জুন মাসে পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে সিলেট বিভাগে দুবার বন্যা হয়। বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় বিভাগের অধিকাংশ এলাকা। জেলার ১০ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। অনেকের ঘরবাড়ি ও গবাদিপশু ভেসে যায়। ২৯ হাজারের মতো মানুষ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেয়। ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। অবশ্য গত চার দিন ধরে স্থানীয়ভাবে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ও পাহাড়ি ঢল থামায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে।

লালমনিরহাটে ভাঙনের হুমকিতে তিন হাজার বাড়ি, একাধিক মসজিদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

লালমনিরহাটে টানা বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে পানি নেমে গেলেও প্লাবিত এলাকায় ভাঙনের কারণে বেড়েছে ভোগান্তি। ভেঙে গেছে গ্রামীণ কাঁচা সড়ক, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলের ক্ষেত। এছাড়া বন্যার পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায় জেলার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচার ইউনিয়নের গরীবুল্লাহ পাড়া, চণ্ডীমারী এবং সদর উপজেলার কালমাটি, রাজপুরে কয়েকটি পয়েন্টে দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। এতে অন্তত তিন হাজার বসতভিটা, একাধিক মসজিদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার রায় বলেন, তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে সৃষ্ট স্বল্পমেয়াদি বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় গরীবুল্লাহ পাড়াসহ কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙন শুরু হয়েছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এমকেএম তাহমিদুল ইসলাম রবিবার ভাঙনপ্রবণ এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন। ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।

স্পষ্ট হচ্ছে বন্যার ক্ষতচিহ্ন

কুড়িগ্রামে বন্যার পানি কমার সাথে সাথে বেড়েছে পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ। পানি হ্রাসের পর স্পষ্ট হয়ে উঠছে বন্যার ক্ষত। বন্যাকবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগ। জেলায় ১৩২০ হেক্টর জমির রোপা আমন চারা, পটোল, ঢেঁড়স, চিনাবাদাম, তিল, তিসিসহ নানা রকম ফসল নষ্ট হওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে জেলার কৃষকরা।

এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিপাত ও ভারতের পাহাড়ি ঢলে পানিবন্দি হয়ে পড়ে চার শতাধিক চরের প্রায় পঁচিশ হাজার পরিবার। বিপদসীমা অতিক্রম করে জেলার ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার নদের পানি। তবে বর্তমানে জেলার সব নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সদর উপজেলার পাঁচগাছী, যাত্রাপুর ইউনিয়ন, উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ, সাহেবের আলগা, রাজিবপুর উপজেলার চর কোদালকাটি এলাকার মানুষ এখন বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার ও গোখাদ্যের সংকটে ভুগছে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, কুড়িগ্রামে উজানের ঢলে বৃদ্ধি পাওয়ায় নদ-নদীর পানি হ্রাস পেতে শুরু করেছে। আমরা ইতোমধ্যে বন্যা আক্রান্ত পরিবারগুলোর খোঁজখবর নিচ্ছি। পানিবন্দিদের জন্য ১২ লাখ ৩৬ হাজার টাকা ও ২৫১ টন চাল বিতরণ করা হচ্ছে।

নেত্রকোণায় পানিবাহিত রোগের চিকিৎসায় ৮৬টি মেডিকেল টিম গঠন

নেত্রকোণায় গত ৫ দিন ধরে কোনো বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে বানের পানি। তবে প্লাবিত এলাকার মানুষজন দুর্ভোগে পড়েছে। প্লাবিত এলাকার গ্রামীণ রাস্তাগুলো কর্দমাক্ত থাকায় যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ।

পানিবাহিত রোগবালাই প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পরামর্শ, ওষুধ ও চিকিৎসা প্রদানসহ স্বাস্থ্যসেবা দিতে কাজ করছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ৮৬টি মেডিকেল টিম। নেত্রকোণার সিভিল সার্জন মো. সেলিম মিয়া বলেন, জেলায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখন পানিবন্দি লোকজন যারা ছিল, তাদের মাঝে নানা ধরনের রোগ দেখা দেওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই তাদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে ৮৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

শিপ্র/শাহোরা/


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!