শিরোনাম প্রতিদিন ডেস্ক
বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে রবিবার (২৬ মে) সন্ধ্যার পর থেকেই ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ে ভারী জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন উপকূলের বাসিন্দারা। এদিকে, সন্ধ্যার পর এই জেলার অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে গেলেও ঘরবাড়ি ছেড়ে যাননি অনেকেই। তবে আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়েও দুশ্চিন্তায় নির্ঘুম রাত কাটছে।
সন্ধ্যার পর থেকে বাতাসের গতিবেগ বাড়তে শুরু করেছে। বাতাসের সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টিপাতও বাড়ছে। ফলে উপকূলের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বরগুনা সদর উপজেলার ৭ নম্বর ঢলুয়া ইউনিয়নের ডালভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা শাহিন গরামীসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, রাত ১১টা থেকে জোয়ার শুরু হলে এখন আমাদের বেড়িবাঁধ (ওয়াবদা) রাস্তা তলিয়ে পানি ওঠা শুরু করেছে। এখন রাত ১২টা বাজে, আমরা কই যাবো? আমরা তো মনে করেছি, এই রাস্তা তলিয়ে পানি উঠবে না। এখন এই রাস্তা ছুটে গেলে সিডরের মতো আমাদের ঘরবাড়ি আবার ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। মাথা গোঁজার ঠাঁইও থাকবে না।
তারা আরও জানান, যদি এটা চলমান থাকে খুবই ভয়াবহ অবস্থা হবে আমাদের। কারণ বাতাসের সঙ্গে জোয়ারের সম্পর্ক রয়েছে। এতে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে।
এদিকে পাথরঘাটার বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর পাড়ের বাসিন্দারা আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে ভিন্ন আতঙ্ক বিরাজ করছে কারণ বাড়িঘর রেখে তারা আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন।
পোটকাখালী আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মোবারক আলী বলেন, আমরা ঘরবাড়ি রেখে এখানে এসেছি। সারা রাত ঘুম আসবে না, পানি ঢুকলে বা বাতাস হলে কিছুই থাকবে না। এতক্ষণে মনে হয়, পানিতে সব তলিয়ে গেছে।
শিপ্র/শাহোরা/