শিরোনাম প্রতিদিন ডেস্ক
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মরমি সাধক ফকির লালন শাহ’র অনুসারীদের নির্মিত আনন্দধামে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় একটি ভাস্কর্য ও ছবি ভাঙচুর এবং বিভিন্ন বইপত্র ও বাদ্যযন্ত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের মোটরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে ভাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকসেদুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে।
জানা যায়, সদরপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক কবি ও শিল্পী মো. জাহিদ হাসান তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজস্ব জমিতে ২০১৩ সালে ওই আনন্দধামটি স্থাপন করেন।
জাহিদ হাসান জানান, রবিবার দিবাগত গভীর রাতের দিকে একদল দুর্বৃত্ত আনন্দধামের দেওয়াল টপকে ভিতরে এসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় বেশকিছু ছবি ভাঙচুর এবং বইপত্র, জার্নাল, বাদ্যযন্ত্রে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগে ফেসবুকে দারুস সুন্নাহ কাউলিবেড়া নামে একটি গ্রুপে এইচএম ইমরান হোসেন নামে একটি আইডি থেকে লালন আনন্দধাম নিয়ে উসকানিমূলক পোস্ট করা হয়। এর এক সপ্তাহ না যেতেই সেখানে হামলা চালানো হলো।’
লালন আনন্দধামের সভাপতি দীনেশচন্দ্র রায় বলেন, ‘রবিবার দিবাগত গভীর রাতে যখন বিদ্যুৎ ছিল না, তখন এ হামলা করে দুর্বৃত্তরা। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’
তিনি বলেন, ‘ভাঙ্গা উপজেলার একমাত্র সংস্কৃতি চর্চার তীর্থস্থান হয়ে ওঠে এই লালন আনন্দধাম। এ ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হয় প্রতিষ্ঠাটি। যেমন ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেধাবৃত্তি, শীতবস্ত্র বিতরণসহ বিভিন্ন কবি-সাহিত্যিকদের স্মরণে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে লালন আনন্দধাম।’
এ ঘটনায় অধ্যাপক জাহিদ হাসান বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকসেদুর রহমানের এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে গত রাতে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শিপ্র/শাহোরা/