মনোহরদী প্রতিনিধি
নরসিংদীর মনোহরদী প্রতিবন্ধী কমপ্লেক্স বিদ্যালয়ে অর্থ ও মালামাল লুট, নিয়োগরে নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারী ইউসূফ হাসানের বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য পাঠ করেন মনোহরদী প্রতিবন্ধী কল্যান সংস্থার মহাসচিব মো. ইকবাল হোসাইন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান খান, যুগ্ম মহাসচিব কাজী আমিরুল ইসলাম, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক তাইজ উদ্দিন ফরাজী, প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা মো. তোতা মিয়াসহ শিক্ষক কর্মচারীরা। অভিযুক্ত ইউসূফ হাসান মনোহরদী উপজেলার গোতাশিয়া ইউনিয়নের দুর্বাকান্দী গ্রামের মৃত আব্দুল হেকিমের ছেলে।
তারা বলেন, ২০০৯ সালে চুলা গ্রামের তোতা মিয়া, খোকা মিয়া ও তাদের তিন বোন মনোহরদী প্রতিবন্ধী কমপ্লেক্স এবং প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংস্থার নামে ১১৩ শতাংশ জমি দান করেন। পরবর্তীতে দুটি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন ইউসুফ হাসান। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে চাকরির দেওয়ার নামে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা গ্রহণ করেন তিনি। এমনকি অন্যান্য জেলায় প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে দেওয়ার কথা বলেও লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ইউসূফ হাসান একজন প্রতারক। সে প্রতিষ্ঠানে থাকাকালীন বিদ্যালয়ের একটি মোটরসাইকেল, তিনটি ফ্রিজ, তিনটি টিভি, ২৮টি আবাসিক বেড এবং নগদ ১৭ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। এ ছাড়া প্রতারক ইউসূফ হাসান বাংলাদেশ প্রতিবন্ধীলীগের সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে এলাকা থেকে প্রায় চার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায়। ইউসূফ একজন নারীলোভী, প্রতিষ্ঠানে আবাসিক থাকার সুবিধার্থে এখানে রাত্রিযাপন করতেন। সেখানে একজন আয়ার সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাদের হাতেনাতে আটক করার পর সে কিছুদিন এলাকা ছাড়া হন। তার এসব কর্মকান্ডে সহযোগীতা করেন। তার বিরুদ্ধে মনোহরদী থানা ও নরসিংদী আদালতে ৮টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে চারটি মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত ইউসুফ হাসান বলেন, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমি কারও টাকা আত্মসাৎ করিনি।
শিপ্র/শাহোরা/মুইখা/