শিরোনাম :
বিপিএলের চূড়ান্ত সূচি ঘোষণা তিনি জনগণের টাকা লুটপাট করে স্বামীর বাড়ি চলে গেছেন; রিজভী জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য পর্যাপ্ত সহায়তা প্রয়োজন; ড ইউনূস বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বন্দ্ব; নেপথ্যে … গুলিস্তান ও ফার্মগেটে যৌথ বাহিনীর হকার উচ্ছেদ অভিযান বগুড়ায় মাকে হত্যা পর রাখলেন ফ্রিজ বন্ধি;; ডাকাতির নাটক জাতীয় সাঁতারে দেশসেরা সাঁতারু রাফি-যুথী বাঞ্ছারামপুরে আধিপত্য বিস্তারে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, টেঁটাবিদ্ধসহ আহত ১৫ পলাশে সরকারি সড়কের ইট তুলে দেয়াল নির্মাণ, ৫০ পরিবারের যাতায়াত বন্ধ ঢালাও ও গায়েবি মামলায় অন্তর্বর্তী সরকার বিব্রত: আইন উপদেষ্টা
বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন

পলাশে সাবেক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের জমি দখলের অভিযোগ

Reporter Name / ১৬০ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪

পলাশ  প্রতিনিধি

নরসিংদীর পলাশে ৫০ নং পূর্ব ঘোড়াশাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে দানকৃত জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মাধব মিত্রের বিরুদ্ধে। বিদ্যালয়ে দায়িত্বে থাকাকালীন তিনি দানকৃত জমিতে নির্মাণ করেছেন বসতভিটা ও সমিতির প্রতিষ্ঠান। এতে বিদ্যালয়ের জমির পরিমান কমে যায়। বেদখল জমি ফিরিয়ে আনা বিষয়ে  অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে বিদ্যালয়  কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা যায়, ১৯৮৪ সালে ঘোড়াশাল দিগদা গ্রামে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় প্রতিষ্ঠিত হয় ৫০ নং পূর্ব ঘোড়াশাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করতে ওই গ্রামের কৃষ্ণচরণ মিত্র ও রাজেন্দ্র মিত্র নামে দুই ব্যাক্তি ৩৩ শতাংশ জমি দান করেন। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কৃষ্ণচরণ মিত্রের ছেলে মাধব মিত্র।

দীর্ঘ সময় প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকাকালীন মাধব মিত্র বিদ্যালয়ের নামে দানকৃত জমির অধিকাংশই দখলে নিয়ে সেখানে নির্মাণ করেন বসতভিটা ও অনুপম কো-অপারেটিভে ক্রেডিট ইউনিয়ন নামে এক সমিতির স্থাপনা। অন্যদিকে বেদখলে থাকায় কমতে থাকে বিদ্যালয়ের জমি। সর্বশেষ ২০১১ সালে বিআরএস জরিপে বিদ্যালয়ের ৩৩ শতাংশ জমির পরিবর্তে রেকর্ড হয় ২০ শতাংশ জমি। তার মধ্যে ওই জমির একটি অংশ রেলওয়ের বলে দাবি উঠে । বিদ্যালয়ের প্রকৃত জমি পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে দায়িত্বরত বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

পূর্ব ঘোড়াশাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আমিনুল ইসলাম জানায়, এই বিদ্যালয়টি ১৯৮৪ সালে স্থাপিত হয়। স্থাপিত হওয়ার সময় এই বিদাদায়ের নামে ৩৩ শতাংশ জমি দান বাবদ দলিল হয়। ১৯৮৪ সাল হতে এই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে জমিদাতা শ্রী কৃষ্ণ চরন মিত্রের পুত্র বাবু মাধব চন্দ্র মিত্র দায়িত্ব পালন করেন।

দায়িত্ব পালন কালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হওয়ার সুবাদে সকল তথ্যাদি ও কাগজপত্র তার নিকটেই থাকতো। ২০২০ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করার পর তখনকার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককের দায়িত্ব পালন করেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক মিয়া। তার নিকট বিদ্যালয়ের নামে ৩৩ শতাংশের একটি সাব কাওলা জমির দলিল ও বিআরএস পর্চা ২৭.১২ শতকের বুঝিয়ে দিয়ে যান সাবেক প্রধান শিক্ষক।

আব্দুর রাজ্জাক দায়িত্ব থাকাকালীন আমলে স্থানীয় ভাবে মাপা হলে ৩৩ শতাংশ জমি হতে ১৭ শতাংশের মতো জমি দখলে পাওয়া যায়। ২০২৩ সালে নতুন প্রধান শিক্ষক হিসাবে আমি যোগদান করে আবারও জমি সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করতে গেলে বিষয়টি আমলে আনি। বাবু মাধব মিত্রকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই করার নেই বলে জানান।

বর্তমানে ২০২৪ সালে এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এক জরিপ নিয়ে বিদ্যালয়ে আসেন তখন জানতে পারি এই বিদ্যালয়ের ভবনটি রেলওয়ের জমিতে আংশিক স্থাপিত আছে এমতাবস্থায় সাবেক প্রধান শিক্ষার বাবু মাধব মিত্রের কাছে আবারও যোগাযোগ করলে তিনি নানা রকম টাল বাহানা ও অজুহাত শুরু করেন।

বর্তমানে আমি গত ২৬ সেপ্টেম্বর বাবু মাধব মিত্রের নিকট পুনরায় গেলে তিনি রেগে যান এবং বলেন, আমি জমি দিতে পারব না। পরে আমি বিযয়টি লিখিত ভাবে পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করি।

এব্যাপারে পলাশ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি)  এ. এইচ. এম. ফখরুল হোসাইন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নোটিশপূর্বক তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা কর্মকর্তার পক্ষ থেকে তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার সার্বেয়ার দিয়ে জমি মাপার পর প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

শিপ্র/শাহোরা/সাহো/


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!