চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
মন্ত্রী এমপিরা নামে আনা ১৬ কোটি টাকা দামের মার্সিডিজ বেঞ্জ ও ৫ কোটি টাকা দামের ল্যান্ড ক্রুজার, আমদানির পরও খালাস না নেওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা এমন দুটি বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির জন্য তুলছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
আগামী বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুটি বিলাসবহুল গাড়িসহ অন্তত ৪৬ আইটেমের পণ্য নিলামে বিক্রির জন্য তোলা হবে। যা নিকটতম সময়ের মধ্যে কাস্টমসের সবচেয়ে বড় নিলাম হিসেবে আলোচিত হচ্ছে।
এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।
জানা যায়, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের তত্বাবধানে থাকা ৪৬ লটের নিলামে তোলা এই বিলাস বহুল মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য ১৬ কোটি ১০ লাখ ৮৯ হাজার ১৩৬ টাকা এবং ল্যান্ড ক্রুজার এর সংরক্ষিত মূল্যের ৫ কোটি ১৭ লাখ ৭০ হাজার ৩৪০ টাকা। বিলাস বহুল গাড়ি ছাড়াও নিলামে থাকছে নানা ধরনের গার্মেন্টস পণ্য।
এর মধ্যে নিটেড, ওভেন, নন ওভেন, পলিয়েস্টার, ডায়েড, কটন, রেয়ন, ডেনিম ফেব্রিকস। ১৮ সেপ্টেম্বর তারিখের নিলামে আরো রয়েছে লেডিস সু সোল, সিরামিরাকের ফুলদানি, ক্র্যাফট কার্টন, পিভিসি শিট, পার্টস অব অ্যান্টি শপলিফটিং সিস্টেম, ডাইসোডিয়াম সালফেট, পুরোনো কম্বল, ইঞ্জিন অয়েল, টাইলস, সিকিউরিটি ট্যাগ ইত্যাদি। এ নিলামে ৭২ লাখ ৪৭ হাজার ৮৭৬ টাকা সংরক্ষিত মূল্যের আনারস, আপেল, আম, পেয়ারার জুস, স্ট্রবেরি ড্রিংকস তোলা হবে। এবারের নিলাম হচ্ছে চলতি বছরে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের সব চাইতে বড় নিলাম।
কাস্টমস সূত্র বলছে, ল্যান্ড ক্রুজার গাড়িটি এমপি কোটায় আনা হয়েছে ২০২২ সালে। একাদশ জাতীয় সংসদের কুমিল্লা-৭ এর সংসদ সদস্য অধ্যাপক আলী আশরাফের নামে এই গাড়ি আনা হয়েছে। জাতীয় সংসদের এই সদস্য ২০২১ এর ৩০ জুলাই মারা যান। অগএ এ৬৩ মডেলের মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়িটি আমদানি করেছে ঢাকার গুলশান এলাকার জে সি ট্রেডিং নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, যেসব চালানের পণ্য আমদানিকারকেরা খালাস নেন না, ব্যবহার উপযোগিতা থাকে সেগুলো নিলাম করা কাস্টম হাউসের রুটিন কাজ। যেসব পণ্য নষ্ট হওয়ায় ব্যবহার উপযোগিতা হারিয়েছে কিংবা বিপজ্জনক সেগুলো ধ্বংস করা হয়। বুধবার ৪৬ লটের নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
নিলাম ও পণ্য ধ্বংস কার্যক্রমে ধীরগতির কারণে একদিকে ডলারে আমদানি করা পণ্যের ব্যবহার উপযোগিতা হারাচ্ছে।
অন্যদিকে শিপিং এজেন্টের কনটেইনার আটকা পড়ছে বছরের পর বছর। পাশাপাশি এসব কনটেইনার ও কার্গোর কারণে মূল্যবান ইয়ার্ডের জায়গা ও রেফার কনটেইনারে বিদ্যুৎ সংযোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বন্দরও।
শিপ্র/শাহোরা/লিস/