শিরোনাম :
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জল দৃষ্টান্ত; পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সমস্যাগুলো স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করলে দেশ আরও এগিয়ে যাবে ; ড. বদিউল আলম আ’লীগ নেতা কায়সার থেকে জমি কিনে অনেকেই জিম্মি; টাকা চাইলেই হুমকি! মোদির উপহার দেওয়া সেই কালী ঠাকুরের স্বর্ণের মুকুট চুরি আবারও আয়করমুক্ত সুবিধা পেলো গ্রামীণ ব্যাংক ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হতে দেব না: আসিফ মাহমুদ সারাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দূর্গোৎসব পালিত হচ্ছে ড.মঈন খান নরসিংদীতে ঘোড়াদিয়া মধ্যপাড়া টিভি কাপ টুর্নামেন্টের ফাইনাল রাজশাহী জেলা পরিষদ প্রশাসকের বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন শান্তিতে নোবেলজয়ী সংস্থাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ড. ইউনূস
শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫৪ অপরাহ্ন

নরসিংদীর সদর ও পলাশ দুই উপজেলা ভোটের লড়াই হবে হবে সেয়ানে সেয়ানে

Reporter Name / ৪ Time View
Update : সোমবার, ৬ মে, ২০২৪

মো. শাহাদাৎ হোসেন রাজু

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ করার আর কয়েক ঘন্টা বাকী রয়েছে মাত্র। এই ধাপে নরসিংদীর জেলা নরসিংদী সদর ও পলাশসহ দেশের মোট ১৫০টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ করা হবে বুধবার (৮ মে)। উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে ইতিমধ্যে নরসিংদী জেলা নির্বাচন অফিস সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

তাছাড়া ভোটগ্রহনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করেছে জেলা নির্বাচন অফিস।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৪ টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভা নিয়ে নরসিংদী সদর উপজেলা গঠিত। উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৭৮ হাজার ৫৪৫ জন এবং মহিলা ভোটার ২ লাখ ৫৯ হাজার ৪ জন। নরসিংদী সদর উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৭৫টি এর স্থায়ী ভোট কক্ষের সঃখ্যা একহাজার ১৭৯টি এবং অস্থায়ী ভোট কক্ষ ২১টি।

৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে পলাশ উপজেলা গঠিত। এ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৮২ হাজার ৩১৮ৎজন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯২ হাজার ৫৮৫ জন এবং মহিলা ভোটার ৮৯ হাজার ৭৩২জন।

নির্বাচনে দুই উপজেলায় তিনটি পদে মোট ২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছে। এরমধ্যে দুই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নরসিংদী সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ভোটে লড়ছেন ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। তারা সবাই কোন না কোন রাজনৈতিক দলের নেতা বা দলীয় পদে থাকলেও তাদের কেউ কোন রাজনৈতিক দলের ব্যানারে প্রার্থী হননি। সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই ভোটে লড়ছেন। তারা হলেন আব্দুল বাকির (আনারস),মো. আনোয়ার হোসেন(কাপ পিরিচ), মো জলিল হোসেন (দোয়াত কলম) ও হালিমা হাবিজ (মোটর সাইকেল)।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে ওসমান গনি (তালা),  কফিল উদ্দীন ভূঞা (টিয়া পাখি) ,মো. ওয়ালিউর রহমান (মাইক), মো. মোশারফ হোসেন (চশমা), মো. শরিফ মিয়া  (টিউবওয়েল) এবং রেহানুল ইসলাম ভূইয়া পেয়েছে উড়োজাহাজ।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আনজুমান বেগম (কলস),  মোসা. সাহিদা বেগম (হাঁস) এবং সোহানা আক্তার (ফুটবল)।

পলাশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তাদের মধ্যে দলীয় ব্যানারে একজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। জাতীয় পার্টির  লাঙ্গল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে কাজী নজরুল ইসলাম সারোয়ার মোল্লা, এছাড়া বাকী দুইজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শরীফুল হক (দোয়াত কলম) এবং সৈয়দ জাবেদ হোসেন (কাপ পিরিচ)।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. আবদুল কাইয়ুম   (উড়োজাহাজ), মো. কারী উল্লাহ সরকার  (বই) এবং সাইফুল ইসলাম গাজী পেয়েছে চশমা।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাছিমা সুলতানা (হাঁস) এবং সেলিনা আক্তারকে  (কলস) প্রতীক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।।

নরসিংদী সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী থাকলেও লড়াই হবে আনারস প্ীিকের আব্দুল বাকির সাথে কাপ পিরিচের প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেনের। মূলত উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরই রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়। আনারস প্রতীকের আব্দুল বাকির  সদর উপজেলার শীলমান্দী ইউপির দুই দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। শীলমান্দী ইউপির একজন সফল চেয়ারম্যান ও সৎচরিত্রবান ব্যক্তি হিসেবে তার রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি। তাছাড়া জেলার সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী সংগঠন নরসিংদী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্টিস এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। সাবেক ব্যবসায়ি নেতা হিসেবে জেলার ব্যবসায়িদের একটা সাপোর্ট তার পক্ষে রয়েছে। সেক্ষেত্রে নির্বাচনের জয়ের পাল্লাটা তার দিকেই ঝুকে আছে। অপর দিকে কাপ পিরিচের মো.আনোয়ার হোসেন তিনিও কম জান না। মাধবদী পৌরসভার পরপর দুইবার কমিশনার নির্বাচিত হন তিনি। একজন সদাপি ও সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে সর্বমুহলেই তার রয়েছে ব্যাপক পরিচিত। সাংগঠনিক ব্যক্তির হিসাব তার সুপরিচিতি রয়েছে। পাশাপাশি নরসিংদী এক সংসদীয় আসনের সাংসদ নজরুল ইসলাম হিরু সমর্থনতো তার সাথে  রয়েছেই। এটা টপ সিক্রেট হলেও নরসিংদী সদরবাসীর কারোই অজানা নয় যে তিনি এবার সাংসদ নজরুল ইসলাম হিরুর সমর্থন নিয়েই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাই তিনিও জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।

নরসিংদী সদর উপজেলায় ভোটযুদ্ধে লড়াই হবে আনারস ও কাপ পিরিচ প্রতীকের মধ্যে। লড়াইটা হবে সেয়ানে সেয়ানে।। তাদের দুজনের যে যেকোন একজন বলা চলে নরসিংদীর সদর উপজেলা পরিষদের ভবিষ্যৎ  চেয়ারম্যান এটা শতভাগ নিশ্চিত।

পলাশ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হলেও লড়াই হবে মূলত: দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী কাপ পিরিচ প্রতীকে সৈয়দ জাবেদ হোসেন ও দোয়াত কলম প্রতীকের মো. শরিফুল হক এর মধ্যে।  পলাশে তাদের দুজনেরই রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। সৈয়দ জাবেদ হোসেন পলাশ উপজেলায় পরপর দুইবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান। তিনি বর্তমানেও এই উপজেলার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একজন ন্যায়বিচারক ও সফল উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে পলাশবাসীর কাছে তার রয়েছে ব্যাপক গ্রহনযোগ্যতা। অপরদিকে মো. শরিফুল হক ঘোড়াশাল পৌরসভার পরপর দুইবার নির্বাচিত পৌর মেয়র। সেই হিসেবে তারও রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। এছাড়াও নরসিংদী-২ (পলাশ) আসনের সাংসদ ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপের সম্পর্কে সম্বন্ধি (তার বোন বিয়ে করেছেন সাংসদ ডা. দিলীপ) হন তিনি। সাংসদ ডা. দিলীপ ও তার পরিবারের সকলেই শরিফুল হককে সমর্থন দিয়েছেন এবং তিনি ছাড়া অন্য সবাই তার পক্ষে এলাকায় গণসংযোগ সহ বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিয়ে ভোটারদের কাছে দোয়া কলমের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেছেন। পলাশের সাধারণ অনেক ভোটার জানিয়েছেন পলাশে যদি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় পাশাপাশি ভোটাররা যদি ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হয় তবে কাপ পিরিচ প্রতীকের সৈয়দ জাবেদ হোসেনের ভোটের পাল্লা ভারী থাকবে তাই পলাশে তিনি তৃতীয়বারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে আশ্চার্য হবার মত কিছু ঘটবে না। তবে সাধারণ ভোটাররা বলছে পলাশে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে খান পরিবার। যারা বরাবরই পরিবার তন্ত্রকে সমর্থন দিয়ে এসেছে।  আর যদি এই পরিবারটি নির্বাচনের কোন পক্ষপাতিত্ব না করে সে ক্ষেত্রে  এ উপজেলায় লড়াই হবে ভোটের লড়াই হবে বাঘে-মহিষে।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল আলম বলেন, নরসিংদীর দুই উপজেলায় বুধবার (৮ মে) ভোটগ্রহনের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলা নির্বাচন অফিস। এখন শুধু কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট বাক্সসহ প্রেরণ করায় অপেক্ষায়। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

শিপ্র/শাহোরা/


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!