নরসিংদী প্রতিনিধি
নিজের মায়ের সাথে শ্বশুরের সম্পর্কে বিষয় সহজ ভাবে নেয়নি শিলা। বাবার বাড়ি ও শ্বশুর বাড়ি একই এলাকায় হওয়ায় শিলার সাথে ইশতিয়াকের বিয়ের পর তার মা ও শ্বশুরের মধ্যে সখ্যতা গড়ে উঠে। সখ্যতা থেকে সম্পর্ক। আর এ বিষয়টি শিলাই নয় দুই পরিবারের কেউ ভালভাবে নেয়নি। এতে উভয় পরিবারের বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। যা মনে প্রাণে চায়নি গৃহবধূ শিলা। পারিবারিক ভাবে অশান্তিতে ছিলো সে এবং মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো বলে জানায় স্বজন ও এলাকাবীসী। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার (১৫ মে) সকালে শিলার বসত ঘরের বারান্দার গ্রীলে আটকানো মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।
বলছিলাম সাহেপ্রতাব এলাকার আব্দুল কাদির মৃধার মেয়ের ও একই এলাকার শহিদুল্লাহ মুন্সীর ছেলে ইশতিয়াকের স্ত্রী সানজিদা আক্তার শিলা (১৮) এর কথা। বুধবার (১৫ এপ্রিল) সকালে নরসিংদী সদর উপজেলার সাহেপ্রতাব এলাকায় বসত ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত সানিজদা আক্তার এক সন্তানের জননী ছিলেন। তার মৃত্যূকে ঘিরে আত্মীয়-স্বজনসহ এলাকাবাসীর মনে নানা প্রশ্ন উকি দিচ্ছেন। কেউ বলছে নিজ মায়ের সাথে শ্বশুরের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি তাই সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। শিলার মরদেহ অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ এভাবে কেউ আত্মহত্যা করতে পারে না। তাই তাকে হত্যা করা হয়েছে। গৃহবধূ সানজিদা আক্তার শিলার মৃত্যূর বিষয়টি নিয়ে স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনসহ মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত ওই গৃহবধুর কপালে এবং শরীলের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে বলা যাবে এটি কি আত্মহত্যা নাকি হত্যা ?
শিপ্র/শাহোরা/