
নরসিংদী প্রতিনিধি
নরসিংদী পৌর শহরের সড়কগুলোতে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে অভিযানকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল ) শামীম আনোয়ারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৪ অক্টোবর) পৌর শহরের আরশিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শনিবার রাতেই শহর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সোহেল পারভেজ বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং আরও অজ্ঞাতনামা ২৫–৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, হামলার পর দ্রুত অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, নরসিংদী শহরের পূর্ব ব্রাহ্মণদী এলাকার মৃত- মাহমুদুর রশিদেন ছেলে
ফজলুল রশিদ@আদর (৪০), শিবপুরের ভিটি পাড়া দত্তের গাও গ্রামের শামসুল হক খন্দকারের শফিকুল ইসলাম সুমন (৪৪), নরসিংদী শহরতলীর হাজী পুর এ্র্রলাকার বিরাজ মিঞার ছেলে কুদরত হাসান রবিন (২৩), ঘরের ব্রাহ্মন্দী এলাকার হুমায়ুন কবিরের ছেলে মো. সোহাগ মিয়া(৩৫), বোয়াকুর এলাকার মোঃ শওকত মিয়া মো. তানভীর মিয়া(২২) ও পলাশী উপজেলার শামসুলের ছেলে শান্ত মিয়া(২৩),
গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতের দিকে শামীম আনোয়ারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টহল দল শহরের আরশিনগর এলাকায় সাধারণ সড়কপথে তল্লাশি চালাচ্ছিল। এসময় দুই ব্যক্তি চলন্ত যানবাহন থেকে নগদ টাকা তুলছিলেন। বিষয়টি জানতে চাইলে পুলিশ তাদের জানায়, সড়কে চাঁদা তোলা হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা সাপেক্ষে অবৈধ। পরে দুইজনকে আটক করলে হঠাৎ করে ৩০–৩৫ জন লোক অতর্কিতে পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
হামলাকারীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীম আনোয়ারকে কিল-ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে মারাত্মকভাবে আহত করে এবং আটক দুই চাঁদাবাজকে ছিনিয়ে নেন। গুরুতর আহত অবস্থায় শামীম আনোয়ারকে সহকর্মীরা উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং পরে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার বলেন, “শহর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সোহেল পারভেজ বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং বাকিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।”
নরসিংদীর পুলিশ সুপার মিনহাজুল আলম গতরাতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত সাতজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আমরা চাইনা কোন নিরপরাধ শাস্তি পাক। সেজন্যই যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে। তবে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না অভিযান অব্যাহত রয়েছে আরব কেউ বৃত্ত থাকলে আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি নরসিংদীতে সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীম আনোয়ার। ওই ঘোষণার পর থেকে তিনি বিভিন্ন মহলের চাপ এবং হুমকির মুখে ছিলেন। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ওপর হামলার আশঙ্কার কথাও তিনি প্রকাশ করেছিলেন।
শিপ্র/শাহোরা/