শিরোনাম :
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জল দৃষ্টান্ত; পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সমস্যাগুলো স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করলে দেশ আরও এগিয়ে যাবে ; ড. বদিউল আলম আ’লীগ নেতা কায়সার থেকে জমি কিনে অনেকেই জিম্মি; টাকা চাইলেই হুমকি! মোদির উপহার দেওয়া সেই কালী ঠাকুরের স্বর্ণের মুকুট চুরি আবারও আয়করমুক্ত সুবিধা পেলো গ্রামীণ ব্যাংক ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হতে দেব না: আসিফ মাহমুদ সারাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দূর্গোৎসব পালিত হচ্ছে ড.মঈন খান নরসিংদীতে ঘোড়াদিয়া মধ্যপাড়া টিভি কাপ টুর্নামেন্টের ফাইনাল রাজশাহী জেলা পরিষদ প্রশাসকের বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন শান্তিতে নোবেলজয়ী সংস্থাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ড. ইউনূস
শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২২ অপরাহ্ন

দলের দুঃসময়ে যুবদল নেতা মাসুদ রানা ছিল বেলাব’র নেতাকর্মীদের শেষ আশ্রয়স্থল 

আবু বক্কর সিদ্দিক / ৪২ Time View
Update : বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিগত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর বিএনপি’র নেতাকর্মীরা সুদিনের অপেক্ষায়। এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কালে বিগত ১৫ বছরে রাজপথে কোন আন্দোলনই সফলতা পাইনি,এর আগেই সরকারি, দল বিএনপির নেতাকর্মীদের বিভিন্ন মামলা হামলা হুলিয়া দিয়ে আন্দোলনকে করেছে বাধাগ্রস্ত। রাজপথ আন্দোলন দানা বাঁধার আগেই মুখ থুবড়ে পড়েছে।

নরসিংদীতে আন্দোলন ছিল চিনিশপুরস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয় ঘিরে। ওখান থেকেই সকল আন্দোলন সংগ্রাম শুরু হতো।আর ওই সময় যে কজন নেতাকর্মীদের সবসময় দেখা যেত তাদের মধ্যে নরসিংদী জেলা যুবদলের সহ সভাপতি মোহাম্মদ মাসুদ রানা অন্যতম। প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তার সরব উপস্থিতি দৃষ্টি কেড়েছে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের।

কেন্দ্র ঘোষিত সকল কর্মসুচিসহ জেলা ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বিএনপির যে কোন সভা-সমাবেশে রাজপথে অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসেন এই যুবদল নেতা। দলের দুঃসময়ে নরসিংদীর বেলাব উপজেলার নেতাকর্মীদের শেষ আশ্রয়স্থলে পরিনত হয় মো. মাসুদ রানা। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও ছেড়ে যায়নি রাজনীতির মাঠ। রাজনীতি করতে গিয়ে হয়েছেন একাধিক মিথ্যা মামলা হামলার শিকার। কারাবন্দী থেকেছেন বেশ কয়েকবার। তারপরও নেতাকর্মীদের ভালবেসে পাশে ছিলেন সবসময়।

মো. মাসুদ রানা ১৯৭৯ সালে নরসিংদীর বেলাব উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের চরকাশিমনগর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতা -আব্দুল বাতেন একজন পেশায় একজন কৃষক আর মাতা- মাজদা খাতুন একজন গৃহিণী।

সদা হাস্যোজ্জল মাসুদ রানা একজন শিক্ষিত চরিত্রবান ব্যক্তি, সর্বমহল তার রয়েছে ব্যাপক গ্রহন যোগ্যতা। শিক্ষা জীবনে তিনি এম এসসি পাশ। ব্যক্তি জীবনে তিনি ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসায়ী। তিনি হজ্জ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) ও ট্রাভেলন এজেন্সি এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আটাব) এর সদস্য। এছাড়া তাকওয়া স্পিনিং মিলস্ লিমিটেডের পরিচালক।

কলেজ জীবন থেকে জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী হয়ে ১৯৯১ সাল থেকেই ছাত্রদলের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন মাসুদ রানা। তিনি ২০০২ সালে বিন্নাবাইদ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতির পদ লাভ করেন।টানা সাত বছর সফলতার সাথে সে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বিগত আ’লীগ সরকারের আমনে সাবেক শিল্পমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা বেলাব মনোহরদীতে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিভিন্ন মামলা হামলা দিয়ে দলে সাংগঠনিক ভীড় অনেকটাই নড়বড়ে করে তুলেছিল। এ অবস্থায় ২০১৩ সাথে মাসুদ রানাকে বেলাব উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর পর বেলাবতে আন্দোলন আরও গতিশীল হয়ে উঠে। তিনি নিজের যোগ্যতায় বেলাব উপজেলায় যুবদলকে একটি শক্তিশালী ও সাংগঠনিকভাবে অনেক শক্ত অবস্থানে এনে দাঁড় করান। একজন দক্ষ সাংগঠনিক ব্যক্তি হওয়ায় টানা ৯ বছর পালন করেন এই গুরু দায়িত্ব। তিনি তার নিজের যোগ্যতায় জেলার রাজনীতিতে জায়গা করে নেন। তিনি ২০১৪-২০১৯ সাল পর্যন্ত নরসিংদী জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও মাসুদ রানা ২০১২-২০১৪ পর্যন্ত নরসিংদী জেলা কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি জেলা যুবদলের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

নেতাকর্মীরা বলেন, বেলাবতে গত ১৫ বছর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের এমন অনেক নেতা দেখেছি যারা রাজনীতির চেয়ে নিজের ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত থেকেছেন। দলীয় কোন কর্মসূচিতে তাদের অংশগ্রহন ছিল না। দলের বড়-বড় পদ নিয়ে ঘরে বসে ছিল। সরকারের লোকজনের সাথে মিলেমিশে নিজের ব্যবসা বাড়িয়ে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পর আবারও মাঠে এই হাইব্রিড নেতাদের দেখা মিলছে। এখনই সময় এই সকল হাইব্রিড চিহ্নিত এবং প্রতিহত করার। মাসুদ রানার মত ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের মূল্যায়ন করতে হবে।

বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী আরও বলেন, যে নির্বাচন আসলেই নতুন নেতার আগমন ঘটে। নির্বাচন শেষে ৫ বছর আর তাদের খুজে পাওয়া যায় না। তাই আগামীতে স্থানীয় সরকারে নির্বাচনগুলোতে যে সকল নেতারা বছরের পর বছর নিঃস্বার্থ ভাবে দলের আন্দোলন সংগ্রামে ঝাপিয়ে পরেছে। মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন। সুখে-দুখে কর্মীদের পাশে থেকেছে। সেই সকল ত্যাগী পাশাপাশি পরিশ্রমী নেতাদের মূল্যায়ন করে দলীয় সমর্থন দেওয়া হলে এতে দলও মূল্যায়িত হবে। বেলাববাসী সব সময় ত্যাগী নেতার মূল্যায়ন করেছে। আগামী দিনে মাসুদ রানাকে মূল্যায়িত করতেও ভুল করবেনা বেলাব উপজেলাবাসী।

শিপ্র/শাহোরা/আবসি/


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!