জামালপুর প্রতিনিধি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে জামালপুরে মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারী সংগ্রাম, উন্নয়ন, অর্জন ও দূরদর্শীক পথচলার পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।
রবিবার (২৩ জুন) সকালে শহরের বকুলতলারস্থ জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় চত্বরে প্রথমে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের পর জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ, জামালপুর পৌরসভা, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ, জেলা ও পৌর কৃষক লীগ, জেলা ও পৌর শ্রমিক লীগ, জেলা যুবলীগ, জেলা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জেলা ও পৌর মৎস্যজীবী লীগ, জেলা তাঁতি লীগ, পৌর মহিলা আওয়ামী লীগ, জেলা ও পৌর যুব মহিলা লীগ, জেলা ছাত্রলীগ, পৌর ছাত্রলীগ, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ ছাত্রলীগ ও শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতাসহ নিহত সকল শহীদ, মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদ, বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে মৃত্যুবরণকারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
জামালপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুম রেজা রহিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু’র সঞ্চালনায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ, সহ-সভাপতি আইনজীবী আমান উল্লাহ আকাশ প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, কালের পরিক্রমায় আজ ৭৫ তম বছর শেষ করে ৭৬ বছরে পা রাখলো দেশের প্রাচীনতম ও বৃহত্তম রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ১৯৪৯ সালের এদিনে পুরনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে প্রতিষ্ঠা হয় মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী এ দলটির। তারপর এ দলটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে এদেশের গণমানুষের সংগঠনে পরিণত হয়। এ দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে সফলতার নতুন পথ দেখিয়েছেন। দেশের টাকায় পদ্মাসেতু নির্মাণ। মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ অসংখ্য মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। জিডিপির প্রবৃদ্ধি এবং আর্থ-সামাজিক সূচকে ‘উন্নয়ন বিস্ময়’ হিসেবে সত্যিকারার্থেই উত্থান ঘটেছে বাংলাদেশের। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবিচল থেকে সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়ার সংগ্রামকে এগিয়ে নেয়ার আহবান জানাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী, সমর্থকদের।
বক্তারা আরও বলেন, ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির মধ্যে দিয়ে যখন ভারত ও পাকিস্তান নামক দুটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়। পাকিস্তান সৃষ্টি হয়েছিল মুসলিম লীগের নেতৃত্বে। যার নেতা ছিলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। সেই সাথে বাঙালির নেতা ছিলেন সেফসোয়ের সরোয়ার্দী আবুল হোসেন ও বঙ্গবন্ধু, আতাউর রহমান খাঁনসহ অনেকই। জনগণের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসনগোষ্ঠীর সঙ্গে ইয়াকুবের যুদ্ধ চলতে থাকে। মুলত নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এর সাথে ছিলো কৃষক-শ্রমিকপার্টি। এই চারটি দলের সমন্বয়ে ছিলো যুক্তফ্রন্ট। ১৯৭০ সালে মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। আওয়ামী লীগ এই বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শিপ্র/শাহোরা/আমালি/