শিরোনাম প্রতিদিন ডেস্ক
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী ক্যাম্পে ইসরায়েলিদের গণহত্যায় অন্তত ২১০ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। চার জিম্মিকে উদ্ধারে শনিবার (৮ জুন) গাজার মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত শরণার্থী ক্যাম্পটিতে এ গণহত্যা চালায় দখলদাররা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ শতাধিক ফিলিস্তিনি।
নিজেদের অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস।
তারা বলেছে, নুসেইরাত শরণার্থী ক্যাম্পে চালানো ইসরায়েলি গণহত্যায় অন্তত ২১০ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ৪’শরও বেশি ফিলিস্তিনি। আহতদের শরণার্থী ক্যাম্পটির আল আওদা এবং দেইর এল-বালাহর আল-আকসা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে গাজার মিডিয়া অফিস।
যে চার জিম্মিকে উদ্ধার করা হয়েছে তাদের গত ৭ অক্টোবর একটি গানের অনুষ্ঠান থেকে ধরে গাজায় নিয়ে গিয়েছিল হামাসের যোদ্ধারা।
এদিকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, উদ্ধারকৃতরা হলেন নোয়া আরগামানি (২৫), আলমোগ মের জান (২১), আন্দ্রে কোজলোভ (২৭) এবং সলমি ঝিভ (৪০)। খবর কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।
দখলদার ইসরায়েলের দাবি এই চারজনকে দিনের বেলা চালানো ‘জটিল’ অভিযানের মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়েছে। ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা অভিযানটি চালিয়েছে। তাদের মধ্য গাজার নুসেইরাতের আলাদা দুটি জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আরও জানিয়েছে, জিম্মিদের উদ্ধারের সময় নুসেইরাতে জল, স্থল ও আকাশ তিন দিক থেকেই হামলা চালানো হয়। তবে গাজায় এত মানুষের হতাহত হওয়ার বিষয়ে কিছু জানায়নি ইসরায়েল।
তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, চারজনকে উদ্ধার করতে গিয়ে সেখানে ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।
হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা সামি আবু জুহরি বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ৯ মাস যুদ্ধ করার পর চার জিম্মিকে উদ্ধার করার বিষয়টি ইসরায়েলের জন্য একটি ব্যর্থতা।