নরসিংদী প্রতিনিধি
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, জুলাইয়ে খুনি শেখ হাসিনার নির্দেশে পুলিশ নামক সন্ত্রাসীরা ছাত্র-জনতার উপর ঝাপিয়ে পড়েছিল। খুনি হাসিনা প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে পুলিশের ইমেজ সংকটে ফেলেছে। নিজের কাজের মাধ্যমেই পুলিশকে তাদের সেই হারানো ইমেজ ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য দয়া করে টাকার দিকে না তাকিয়ে জনগনের বন্ধু হয়ে উঠুন। মাথা উচু করে আগামীর বাংলাদেশে বেঁচে থাকার পাশাপাশি পোষাকের মর্যাদা রক্ষার অনুরোধ জানান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম।
জুলাই আগস্টের সেইসব সংগ্রামের ইতিহাস অবশ্যই লিখিত ডুকমেন্টেশন থাকা জরুরী। অন্তবর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানাই এব্যাপারে উদ্দ্যোগ নেওয়ার জন্যে। তবে সেটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই এই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে হবে।
সারজিস আলম বলেন, জুলাই শহীদদের রাষ্ট্রিয় স্বীকৃতি, তাদের সরকারী খরচে চিকিৎসা, আওয়ামী খুনী ও দোষরদের বিচার এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব পরিস্কারভাবে উল্লেখসহ ৭ দফা যৌক্তিক দাবী নিয়ে জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা দিতে জন্য ১৫ দিনের সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে রাষ্ট্র এই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন করবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
তিনি বুধবার (৮ জানুয়ারী) বিকেলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির আয়োজনে নরসিংদীর জেলখানা গেইটে দিনব্যাপী প্রচারপত্র বিলি শেষে সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন। এসময় কেন্দ্রীয় ও নরসিংদীর স্থানীয় সমন্বয়করা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে দুপুরে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ইটাখোলায় ঘোষণাপত্র প্রকাশে জনমত গঠন ও প্রকাশনার দাবীতে দিনব্যাপী লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেন সারজিস আলম। সেখান থেকে তিনি শিবপুর উপজেলা সদরের বিভিন্ন স্থানে দিনব্যাপী ৭ দফা সম্বলিত জুলাই ঘোষনাপত্র প্রকাশের দাবী এবং জনমত গঠনে লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে তারা। সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত সারাদেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে তারা এই কর্মসূচী বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন।
শিবপুর থেকে নরসিংদী শহরের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের জেলখানা মোড়ে এসে এ কার্যক্রম চালান তিনি ও তার সাথের অন্যান্য সমন্বয়কেরা। জেলখানা মোড়ে কার্যক্রম শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে মাধবদীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন সারজিদ আলম। সেখানেও একই কার্যক্রম পরিচালনা করবেন বলে জানা গেছে।
শিপ্র/শাহোরা/