নরসিংদী প্রতিনিধি
নরসিংদীতে সদর উপজেলা পরিষদে ভাংচুর ও অসৌজন্যমূলক আচরণের নেতৃত্ব দেওয়া করিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সেই নেতা আসাদুজ্জামান কাজলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নরসিংদী সদর থানা বিএনপি। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) নরসিংদী সদর থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ নোটিশ করা হয় তাকে।
নোটিশে বলা হয়, ‘আপনার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, গত ২৫ নভেম্বর নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে আপনি (আসাদুজ্জামান কাজল) সদলবলে উপস্থিত হয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দলীয় করিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যানের পদকে রক্ষা করার জন্য ভাঙচুর এবং অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
আপনার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলে ধরে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়াসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত এবং প্রকাশিত হয়। এতে দলীয় ভাবমুর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়। ফলে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধসহ গঠনতন্ত্র বিরোধী কার্যকলাপ।
এ অবস্থায় পত্র প্রাপ্তির তিন দিনের মধ্যে নরসিংদী সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি/ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বরাবর স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব দেওয়ার জন্য বলা হল। অন্যথায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, নরসিংদী সদর উপজেলার করিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক আসাদুজ্জামান কাজল।সোমবার কাজল নেতৃত্বে দলীয় কয়েকজন নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সাথে দেখা করে তদবির করতে সদর উপজেলা পরিষদে আসেন। এ সময় ইউএনও অন্য একটি মিটিংয়ে থাকায় তাদের ওয়েটিং রুমে বসতে বলেন।
এদিকে চেয়ারম্যানের কক্ষের দরজা খোলা অবস্থায় দেখতে পেয়ে আসাদুজ্জামান কাজলের নেতৃত্বে কয়েকজন ওই কক্ষে প্রবেশ করেন। তারা কক্ষে ঢুকেই সদ্য অপসারণকৃত আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের ক্রেস্ট ও নামফলক দেখতে পান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসাদুজ্জামান কাজলসহ তার সাথে থাকা জেলা তাঁতী দলে সাধারণ সম্পাদক ও জেলা নবীন দলে সভাপতি আমির হোসেনসহ অন্যান্যরা ভাঙ্চুর চালায়। এ জেলা নবীন দলে সভাপতি আমির হোসেন লকার ভেঙে নাইট গার্ড মাজেদুলের ব্যাগ ও নগদ টাকা মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায়। যা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে।
শিপ্র/শাহোরা/জউস/