নিজস্ব প্রতিবেদক
সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মিদশার দুঃসহ স্মৃতি কাটিয়ে অবশেষে স্বজনদের কাছে ফিরেছেন এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক। তাদের নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে পৌঁছেছে এমভি জাহান মণি-৩।
মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকাল ৪টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের ‘এনসিটি ১’ জেটিতে এসে পৌঁছায় জাহাজটি। পরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ২৩ নাবিককে বরণ করে নেন।
চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তির প্রায় এক মাস পর সোমবার সাড়ে ৬টায় বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় নোঙর করে। সেখান থেকে এমভি জাহান মণি-৩ নামের লাইটারেজ জাহাজে করে ২৩ নাবিককে চট্টগ্রাম বন্দরে এনেছে।
সোমালিয়ান জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্ত হওয়ার আট দিন পর গত ২১ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায় এমভি আব্দুল্লাহ। সেখানে জাহাজের ৫৫ হাজার টন কয়লা আনলোড করা হয়। গত ২৭ এপ্রিল জাহাজটি আল হামরিয়া বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দরে যায়। সেখান থেকে চুনা পাথর লোড করে ২৯ এপ্রিল বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেয়। ১৪ দিনের মাথায় জাহাজটি বাংলাদেশের কুতুবদিয়া চ্যানেলে আসে।
আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুর কবলে পড়ে এমভি আব্দুল্লাহ। জলদস্যুরা ১৪ মার্চ দুপুর ২টার দিকে জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যায়। সোমালিয়ান উপকূলে দীর্ঘ ৩১ দিন জিম্মিদশায় থাকার পর ১৩ এপ্রিল মুক্ত হন নাবিকরা। মুক্তিপণ দেওয়ার পর ১৩ এপ্রিল রাত ৩টার দিকে জলদস্যুরা জাহাজ থেকে নেমে যায়। এরপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজের নিরাপত্তায় এমভি আব্দুল্লাহ উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ সোমালিয়ান সমুদ্র উপকূল পাড়ি দিয়ে ২১ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৪টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়।
শিপ্র/শাহোরা/