শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রের পারিবারিক আদালতের বিচারক হলেন বাংলাদেশি মেয়ে নাবিলা পাইকগাছায় ব্রিজ ভেঙ্গে নদীতে; চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী শ্বাসকষ্টে একে একে স্কুলের ১১ ছাত্রী অসুস্থ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দুই রকস্টার গাইবে একই মঞ্চে; অপেক্ষা দর্শকশ্রোতা ভালবাসাটা আসল, কাকে বাসছি সেটা বড় নয়’; দুই তন্বীর বিয়ে মন্দিরে, সাক্ষী গ্রাম ঘূর্ণিঝড় কালমায়েগির আঘাতে লন্ডভন্ড ফিলিপাইন, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪০ রায়পুরায় দুই সহদরকে হত্যার ঘটনায় আপন চাচাসহ আরও ৩ আসামী গ্রেফতার কোবে বাংলাদেশ সোসাইটির নতুন কমিটি গঠন; আলমগীর সভাপতি, সাইদুর সাধারণ সম্পাদক সুদানে জানাজায় আরএসএফ’র ড্রোন হামলায় ৪০ জনের প্রাণহানী প্রকাশ্যেই মেয়েকে শাসন করলেন বলিউড বাদশা শাহরুখ
শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:২১ পূর্বাহ্ন

ইসরায়েলের সাথে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় ইরানে ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

Reporter Name / ১০২ Time View
Update : শনিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৫

শিরোনাম প্রতিদিন ডেস্ক

ইসরায়েলের সঙ্গে যোগসূত্র এবং সশস্ত্র হামলার অভিযোগে সাতজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় খুজেস্তান প্রদেশে দণ্ডপ্রাপ্তদের ফাঁসি দেওয়া হয়।

দেশটির বিচার বিভাগের সংবাদ সংস্থা মিজান-এর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স। তবে দণ্ডিতদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

রয়টার্স জানায়, দণ্ডিত সাতজনের মধ্যে ছয়জন জাতিগত আরব বিচ্ছিন্নতাবাদী। তাদের বিরুদ্ধে খুজেস্তানের খোররামশাহরে সশস্ত্র ও বোমা হামলার অভিযোগ ছিল, যেখানে চার নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়েছিলেন। সপ্তম ব্যক্তি সামান মোহাম্মদী খিয়ারেহ, একজন কুর্দি। তিনি ২০০৯ সালে সানন্দজ শহরে সরকারপন্থী সুন্নি ধর্মীয় নেতা মামুস্তা শেখ আল-ইসলামকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো খিয়ারের মামলাকে বিতর্কিত বলছে। তাদের দাবি, হত্যাকাণ্ডের সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৫ বা ১৬ বছর। ১৯ বছর বয়সে গ্রেপ্তার হওয়ার পর এক দশকেরও বেশি সময় আটক রাখা হয় এবং নির্যাতনের মাধ্যমে স্বীকারোক্তি আদায় করে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্যমতে, ২০২৫ সাল পর্যন্ত ইরানে এক হাজারেরও বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এর আগে সোমবার ইসরায়েলের হয়ে কাজ করার অভিযোগে বাহমান চৌবি আসল নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

এ বছরের জুনে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ১২ দিনের সংঘর্ষ হয়। ওই যুদ্ধে সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীসহ শত শত মানুষ নিহত হন। যুদ্ধ শেষে ইরান ঘোষণা দেয়, ইসরায়েলের সঙ্গে সহযোগিতার অভিযোগে সন্দেহভাজনদের দ্রুত বিচার করা হবে। এরপর থেকেই একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার ও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। আগস্টে রুজবেহ ভাদি নামের আরেক ব্যক্তিকে ফাঁসি দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি এক পরমাণু বিজ্ঞানীর তথ্য ইসরায়েলকে সরবরাহ করেছিলেন।

৯ আগস্ট ইরানের বিচার বিভাগ জানায়, ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আরো ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।

জুলাইয়ে ইরানের সংসদে একটি আইন পাস হয়। এতে বলা হয়, দখলদার ইসরায়েল বা অন্য শত্রু রাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা করলে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। গোয়েন্দা কার্যক্রম, গুপ্তচরবৃত্তি কিংবা সামরিক, আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তাও ‘পৃথিবীতে দুর্নীতির’ অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

এ ছাড়া অননুমোদিত ইন্টারনেট সেবা (যেমন স্টারলিংক)–এর যন্ত্রাংশ ক্রয়-বিক্রি বা কাছে রাখাও গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। এ অপরাধে অভিযুক্তদের ছয় মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। আর কেউ যদি এসব সরঞ্জাম ১০টির বেশি আমদানি বা উৎপাদন করে, তবে তার শাস্তি ৫ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড।

নরওয়ে ভিত্তিক সংস্থা ‘আইএইচআর’-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের প্রথম ২৬ দিনেই ইরান ৫৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। সংস্থাটির দাবি, এসব ফাঁসির মাধ্যমে হিজাববিরোধী বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ভয় সৃষ্টি করতে চাইছে সরকার। বর্তমানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আরো ১০৭ জনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় আছে।

আইএইচআরের পরিচালক মাহমুদ আমিরি মোঘাদ্দাম বলেন, ইরানে কার্যকর করা এসব মৃত্যুদণ্ড মূলত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মানুষের মনে ভয় সঞ্চারই এর লক্ষ্য।

শিপ্র/শাহোরা/


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!